অনলাইন ডেস্ক : খালাতো বোনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কের সুযোগে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দৈহিক মেলামেশা করেছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এক যুবক।
এক পর্যায়ে ওই মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ার পর বিয়েতে রাজি হননি তিনি। পরে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড নিয়ে ২০১২ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন সেই যুবক।
সম্প্রতি আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ভিকিটিম (মেয়েটি) এখানে আছে। তারা বিয়েতে রাজি। এরপর আদালত কারাবন্দি আসামি ও ভিকটিমের মধ্যে কারা ফটকেই বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন। বিয়ের পর এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবীরা জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সিতানাথ খালকোর ছেলে দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভিকটিম) মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে খালাতো বোনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈহিক সম্পর্কে জড়ান দিলীপ খালকো।
এতে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তারপর দিলীপ আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে একই সালের ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ী থানায় দিলীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় আসামির ২০১২ সালের ১২ জুন এক রায়ে দিলীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন আদালত।
সেই থেকে থেকে দিলীপ কারাবন্দি। সম্প্রতি দিলীপ হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের সম্মতিতে কারা ফটকে বিয়ের আদেশ দেন।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২৩ অক্টোবর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.